দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ২৪টি স্বর্ণের বারসহ পাঁচ পাসপোর্টধারী যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থা।

বুধবার (১৯অক্টোবর) বিকেলে সাড়ে চারটায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পাসপোর্ট কার্যক্রম শেষে ভারতে প্রবেশের আগ মুহূর্তে তাদের আটক করা হয়।

পরে তাদের তল্লাশি করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার স্বর্ণের বারের ওজন দুই কেজি ৪০০ গ্রাম। যার মূল্য ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থার রাজস্ব কর্মকর্তা শোয়েব রহমান।

আটকরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদরের সামসুল আলমের ছেলে মিনারুল ইসলাম (৫১), একই জেলার ঘিওর থানার নালীরগ্রামের মোতালেবের ছেলে জসিম উদ্দীন (২৯) ও মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ (৪৬) এবং হরিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের লিমাই দাসের ছেলে মনোরঞ্জন (৪৮)। এ ছাড়া মতিয়ার রহমান (৫৬) এর বাড়ি ঢাকা গেন্ডারিয়ায়।

কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হওয়া মনোরঞ্জন বলেন, আমি গত এক সপ্তাহ আগে এই সীমান্ত দিয়ে চারটি স্বর্ণের বার নিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। আজকে আবারও চারটি স্বর্ণের বার নিয়ে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা সংস্থা আমাকে আটক করে।

মিনারুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকার তাঁতিবাজার থেকে চারটি স্বর্ণের বার ২৮ লাখ টাকায় কিনে হিলি হয়ে ভারতের কলকাতায় যাচ্ছিলাম। আমি আগেও বেশ কয়েকবার ভারতে গিয়েছিলাম। প্রতিটি স্বর্ণের বারে তিন থেকে চার হাজার টাকা লাভ হয়।

জানতে চাইলে হিলি কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থার রাজস্ব কর্মকর্তা শোয়েব রহমান বলেন, পাসপোর্টধারী পাঁচ যাত্রী শরীরের বিভিন্ন অংশে কিছু স্বর্ণের বার নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন-এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হিলি  ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের কাস্টমস গোয়েন্দা অফিসে আনা হয়। এ সময় তল্লাশি করে ২৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।